
সরকার যাত্রী পরিবহন ও ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ায়, বরিশাল-ভোলা-ভেদুরিয়া নৌ-রুটে যাত্রীবাহী স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক এবং চালকরা। তাদের দাবি, ওই রুটে যাত্রী সংকটের কারনে রোটেশন প্রথা রয়েছে। এ অবস্থায় ভাড়া কমিয়ে দেওয়ার তাদের আয় মারাত্মকভাবে কমে যাবে।
ভোলা থেকে বুধবার সকালে এবং বরিশালে বেলা ১১টা থেকে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। এর ফলে বরিশাল-ভোলা এবং ভেদুরিয়া রুটের স্পিডবোটের যাত্রীদের পড়তে হয়েছে সীমাহীন ভোগান্তিতে। বরিশাল স্পিডবোট মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম জানান, ইতোপূর্বে বরিশাল-ভোলা রুটে জনপ্রতি সাড়ে তিনশ টাকা ভাড়ায় প্রতি ট্রিপে ৮ জন করে যাত্রী পারাপার করতেন। এখন সরকারিভাবে ৩শ টাকা ভাড়া রির্ধারণ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের এই রুটে যাত্রী সংকট। এ কারণে একটি স্পিডবোট বরিশাল থেকে ভোলায় গেলে রোটেশন অনু্যায়ী তিন-চারদিন পর যাত্রী নিয়ে ফিরতে হয়। অর্থাৎ চারদিনে আয় হবে চার হাজার ৮শ টাকা। এ থেকে তেল খরচ এবং চালকের বেতন দেয়ার পর কিছুই থাকে না।
আমাদের দাবি ভাড়া অন্তত আরও ৫০ টাকা বাড়িয়ে জনপ্রতি ৩৫০ টাকা নির্ধারণ, না হলে যাত্রী সংখ্যা ৮ জন থেকে বাড়িয়ে ৯ জন করা হোক। দাবি না মানা হলে বরিশাল-ভোলা রুটে স্পিডবোট চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধই থাকবে বলে জানিয়েছেন মালিক ও সমবায় সমিতির ট্রেজারার মজনু আকন।
সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বরিশাল-ভোলা-ভেদুরিয়া প্রান্ত থেকে লাইসেন্সধারী শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে থাকে। লঞ্চে গন্তব্যে পৌছতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এজন্য অফিসগামীদের জন্য স্পিডবোট খুবই প্রয়োজনীয় বাহন। একারনে স্পিডবোট মালিক এবং চালকদের দাবি বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
স্পিডবোটের ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার। তাই মালিক এবং চালকদের দাবির বিষয়েও সরকার যে সিদ্ধান্ত দিবে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক শেখ মো. সেলিম রেজা।